রংপুরের গংগাচড়ায় জিনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কবিরাজের পরামর্শে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মেজবাউল হক ঘুটুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার (১১ জুন) ভোরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃত অন্য দু’জন হলেন- রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া এলাকার আজাহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সুর্যিনা বেগম। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার (১১ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর আলমনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডে র্যাব-১৩ সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার রেজা আহামেদ ফেরদৌস।
তিনি বলেন, ২ জুন দুপুরে স্কুল ছুটির পর শিশুটিকে বেড়ানোর কথা বলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান আজাহারুল ও সূর্যিনা। এরপর মেয়েটিকে দুপুরের খাবার খাইয়ে মোবাইলে গান শোনান ও অশ্লীল ভিডিও দেখান। একপর্যায়ে কৌশলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তারা।
এরপর বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে চলে যান ঘুটু। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ৪ জুন গঙ্গাচড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা। পরে শনিবার ভোরে ঘুটুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘুটু জানান, তার ওপর জিনের আছর পড়েছে। শিশু ধর্ষণ করলে কোনোদিন জিনের আছর পড়বে না বলে পরামর্শ দেন স্থানীয় এক কবিরাজ। কবিরাজের পরামর্শে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।